ছবি সংগৃহীত
কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাকে কোরবানি দিতে হবে। এটি ওয়াজিব বিধান। আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন— ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২)
নিসাব পরিমাণ সম্পদ বলতে যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা থাকে অথবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সব সম্পদ মিলে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার সমমূল্যের হয়, তখনো কোরবানি করা ওয়াজিব। সরাসরি স্বর্ণ বা রুপা থাকা শর্ত নয়, বরং প্রয়োজনের অতিরিক্ত সমমূল্যের নগদ অর্থ বা বাড়ি বা ব্যাবসায়িক পণ্য বা অন্যান্য আসবাবপত্রের মালিক হবে। (তাবয়িনুল হাকায়িক, পৃষ্ঠা: ১০, খণ্ড: ৬)
প্রশ্ন হলো- বাবার মৃত্যুর পর সম্পদ বণ্টন না করা অবস্থায় কোরবানির বিধান কী হবে? একটি ছাগল কোরবানি করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হবে কি না?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, একটি ছাগল দ্বারা এক ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। একাধিক ব্যক্তি বা পরিবারের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে একটি ছাগল কোরবানি দিলে তা যথেষ্ট হবে না। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যৌথ সম্পত্তি যদি এ পরিমাণ হয় যে, বণ্টন করলে প্রত্যেক সদস্য প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে যায় তাহলে প্রত্যেকের উপর কোরবানি করা ওয়াজিব হবে।
অবশ্য কেউ যদি নেসাব থেকে কম সম্পদের মালিক হয়, তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। তদ্রূপ কেউ অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার উপরও কোরবানি ওয়াজিব নয়।
(মুসতাদরাকে হাকেম: ৭৬৩৯; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১৮১; ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া: ৩/২৪২; আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩১৬; তাবয়িনুল হাকায়েক: ৬/৪৭৫) সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম